
শক্তি রূপেণ
বাইরে কালীপুজোর হুল্লোড়… হাওয়ায় পোড়া বারুদের গন্ধ.. আকাশে অগুনতি বাজির আলোয় ঝলমল করে উঠছে। কিন্তু জেলের এই অন্ধকার গুমোট সেলে তার আওয়াজ টুকু্ই কানে আসে। বুকটা বারবার ধরফর করে ওঠে রাম সিং এর, ঘুম আর আসেনা চোখে।
হঠাৎ একটা অদ্ভুত আওয়াজে রাম সিং এর চমক ভাঙল। মনে হচ্ছে যেন খুব ধীরে ধীরে করিডর দিয়ে কেউ হাঁটছে।
হাল্কা একটা নুপুরের শব্দ।
ওই প্রান্ত থেকে ইলেক্ট্রিক বালবের আলোটা ঠিক এই দিকে পৌছয় না। আবছায়া আলোয় কি কোন মেয়ের অস্পষ্ট অবয়ব? খোলা চুল হাঁটু ছুয়ে আছে, শরীরের লজ্জা ঢাকছে এক টুকরো কাপড়, সেলের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সে।
“কে?? কে ওখানে??” চেচিঁয়ে ওঠে রাম সিং।
“আমি রে, চিনতে পারছিস না?” বলতে বলতে মেয়েটা সেলের ভেতরে এসে দাঁড়ায়, লোহার গরাদ গুলোও আটকাতে পারে না ওকে।
আতঙ্কে রাম সিং উঠে দাঁড়ায়। এ কি দেখল ও.. একি সত্যি!! বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে ওর কপালে, গলা শুকিয়ে কাঠ….স্বর হারিয়ে ফেলে রাম সিং।
মেয়েটা ধীর পায়ে ওর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। মুখ টা কি বোঝা যাচ্ছে অন্ধকারে?
“এখনো চিনতে পারলি না?? আমি নির্ভয়া।”
“কে নির্ভয়া?”
“নাম টা তুই আর জানবি কি করে, তুই তো শুধু আমার শরীরটা চিনিস। সেই রাতে চলন্ত বাসে কি করেছিলি মনে আছে তোর? রক্তাক্ত আমার শরীরটাকে যখন ফেলে চলে গেলি তখন ফিরে তাকিয়েছিলি একবারও? দেখ, এখনো এই কাপড়ে রক্ত লেগে আছে।”
মেয়েটার ঠান্ডা শ্বাস এসে লাগে রাম সিং এর শরীরে। চোখ থেকে যে ধারা চিবুক গড়িয়ে নামছে তা তো অশ্রু নয়, রক্তের স্রোত!
“আ.. আমি কিছু করিনি.. আমি কিছু করতে চাইনি.. কিছু জেনে বুঝে করিনি আমি…” সেলের স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়াল শুষে নেয় রাম সিং এর গলার স্বর
“দেখ তো, এটাকে চিনতে পারিস কি না?”
মেয়েটার হাতে একটা লোহার রড। ছিটকে একটা কোনে সরে যায় জন্তুটা। ভয় পাওয়া কুকুরের মত গুটিয়ে নিতে থাকে নিজের শরীরটা কে।
“সেই দিন আমি নিজের রক্তে ভিজেছিলাম, আজ আমি এসেছি তোর রক্তে স্নান করতে, এইটুকু পারবি না করতে আমার জন্য? কি রে.. পারবি না?
“নাআআা…………!!”
শ্যামাঙ্গী মেয়েটার চোখ দুটো জলছে দাউ দাউ করে, লাল লকলকে জিভটা বেড়িয়ে আসছে মুখের মধ্যে থেকে, এলোমেলো চুল গুলো ছড়িয়ে পরছে চারদিকে, গলায় রক্তজবার মালা।
বাইরের আকাশ জুড়ে আলো, উৎসবে মেতে উঠেছে গোটা শহর। অন্ধকারটা শুধু ঘিরে আছে জেলের সেলটাকে, আর মেঝেতে লুটিয়ে রাম সিং এর মুন্ডুবিহীন ক্ষত বিক্ষত শরীর। মুন্ডুটা হাতে তুলে নিয়ে সেল থেকে বেরিয়ে যায় মেয়েটা। জেলের করিডোরে ফোটাফোটা রক্তের দাগ।
Want to read it in English? Click here.
Author ~ Snigdha Susmita Sahoo. Born on 24th November, 1984, at Bhubaneswar, Odisha. A B-Tech Graduate from KITS, Bhubaneswar, currently working at Cognizant. A hardcore vodka lover, sucker of good movies and books. Sagittarian by birth, humanitarian by nature. Believes in “live and let live”. Dreams of traveling the world before dying. Trying her hand at small story writing. Connect her at – [email protected] or follow her @snigsahoo
Raw Cover Image: fiscalia.gob.sv
Cover Image Design: Anari Minds
21 comments
খুব সুন্দর, না সুন্দর শব্দটা এখানে বেমানান, খুব মর্মস্পর্শী বলা ভাল।
তবে কোনটা আসল এবং কোনটা অনূদিত, জানতে পারলে ভাল হত।
Thank you Tamoghna, ei bangla version ta age lekha hiyechilo aar pore English translated version ta.
Very good story !
Thanks Koyel
Snigdha..best Till now..
Thanks Ananda … Tomader Ashirbad 🙏🙏🙏
osadhadharon ….. golpo r concept theke aboho sab e khub khub valo hoyeche ….. khub valo laaglo
Thank you Angshu …
Asadharon Snigdha.tumi eto bhalo bangla ki kore lekho?
Type kore 😜
Thanks Prapti… But Puro Lekha ta amaar na to…. Ami ato Bhalo bangla pari na
Excellent Snigdha di.
Eto bhalo lekha Tao banglay awesome.
Keep up the good work
Thank you Ankit.. Sotti porecho na emni ekta comment Kore diecho ???
You are always best 🙂
Chorom hoeche boss!
Thank you ?. Please share ?
Eita amaar sob Cheye age e bole Deoa uchit chilo … Golpo tar Puro credit ta ami nite parbo na… Lekha ta ato Bhalo guchie Deoa r jonno ajoshro dhonnobad Arijit Aar Anirban ke. Ekdom ontor theke dhonnobaad ?
Ashadharon theme ..?
Thank you … ?
We all want that for each and every ram singh … Don’t we???
Khub valo snigdha di… Keep it up 🙂
Thanks re…
Comments are closed.