ভ্যালেন্টাইন দেহি নমোহস্তুতে

Anirban & Arijit, Childhood, Humor, Short Story, আদতে আনাড়ি, বাংলা
ডিং ডং!
– কে?
– কাকু, চাঁদা টা।
– পরে আসিস, বাড়িতে কেউ নেই।
– আপনি তো আছেন কাকু, তাহলেই হবে।
৫ মিনিট পর…
– তোরা এখনও দাঁড়িয়ে!
– তো আপনি কি ভাবলেন চলে যাব?
– না ইয়ে মানে… কোন ক্লাব?
– কাকু, বীণাপাণি সংঘ। রতনদার বিড়ির দোকানের ঠিক পাশেই।
– বুঝলুম তা শুধুই বীণা? নাকি সাথে পানি ও থাকছে!
তোচনের চোখ টা জ্বলজ্বল করে উঠল। ওর হঠাৎ মনে পড়ল এই ব্যাপারটা তো এখনও প্ল্যান করা হয়নি!
– হুম্‌ম্‌, তা কোন স্কুল তোদের?
বুক ফুলিয়ে এগিয়ে এলো সজারু, মাথার চুল সব খাড়া বলে ওর স্কুলপ্রদত্ত উপাধি, ভালো নাম অনির্বাণ।
– আমি, তোচন আর পিকলু বিবেকানন্দ, টকাই রামকৃষ্ণ, আর সুজয় প্রজ্ঞানানন্দ।
– বাওয়া! তোরা তো সব মহাপুরুষ রে! ঠিক আছে, নাম টা লেখ্‌, নির্ঝর বটব্যাল।
– কাকু, মিস্টার এন বি করে দিলুম। একান্ন টাকা।
– একান্ন??!! সরস্বতী তো ৫ কি ১০এই হয়ে যায় রে।
– কি যে বলেন। এবার মায়ের ভোগে অনেক টাই যাচ্ছে। তা ছাড়া ক্রীড়া কোটায় ২ লাখের ভাগ্য কি সবার ছেঁড়ে কাকু! ভাসানের সময় আপনার বাড়ির সামনে দিয়ে একবার রাউন্ড মেরে নিয়ে যাব কথা দিলুম।
– আচ্ছা। চল্‌, “সরস্বতী” বানান বল্‌।
– কাকু, আপনি এই পাড়ায় নতুন। চলুন এগারো ফাইনাল। ওই, ওটা কেটে এগারো করে দে তো। ফার্স্ট ইয়ার ডিসকাউন্ট।
কাকুর মুখে মুচকি হাসি, চোখে ধূর্ত চাউনি।
– কতো পেয়েছিস এবার বাংলায়?
– ৯৩।
– বলিস কি রে! ৯৩! ইয়ার্কি করছিস?
– শুরু টা তো আপনিই করলেন কাকু।
ফাইনালি একটা চকচকে ৫ টাকার কয়েনেই রফা হল। তোচন রসিদ ছিঁড়ে ধরিয়ে দিল নির্ঝর বাবুর হাতে।
– এ কি রে? এটা তে ক্লাবের নাম কই?
– পেছনে পেন দিয়ে লিখে দিয়েছি কাকু। আসবেন অবশ্যই অঞ্জলি দিতে।
বিঃ দ্রঃ নির্ঝর বাবু মনে করে ঠিকই গিয়েছিলেন, কিন্তু রতনের বিড়ি বা বীণাপাণি, কাউকেই খুঁজে পাননি। ৫ টাকার ফ্রড কেস টা উনি আজও ভুলতে পারেন না।
||
হেডস্যার ঢুকলেন হাতে একটা লম্বা কাগজ নিয়ে।
– বলে ফ্যাল চটপট কে কে ভলেন্টিয়ার হবি?
হঠাৎ একটা কলরবে ক্লাসরুম ভরে গেল। সবার মিলিত চিৎকারের সারাংশ টা ছিল অন্য স্কুলে নেমন্তন্ন করতে যেতে ইচ্ছুক ছাত্রদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
– না, সবাইকে যেতে দেওয়া হবে না। দাঁড়া থোবড়া গুলো বুঝতে দে। অর্নব, অভিজ্যোতি, প্রীতম, অর্কদীপ আর সপ্তর্ষি, ব্যাস এই পাঁচ জন।
পেছন থেকে ভেসে এলো সৌম্যদীপ-এর আর্ত টিটকিরি।
– এটা কি ঠিক হল স্যার? এই একটাই তো সময়। দিলেন তো সব চটকে।
||
বাহাদুর এর কড়া পাহারায় দু পক্ষই তৃষ্ণার্ত থেকে গেল। হাতে করে ৫ টা কার্ড এনে হেডু-র টেবিলের ওপর রেখে মুচকি হেঁসে বাহাদুর বলল, “যেমন অর্ডার দিয়েছিলেন, ঠিক তাই করেছি। সবাইকে গেট থেকেই বিদায় দিয়েছি। কি একটা “সুন্দরী” না কি স্কুল থেকে কয়েকজন এসে তো হাতে পায়ে ধরছিল ঢোকবার জন্য, একজন আবার ডেয়ারি মিল্কও দিল কাকে একটা দেওয়ার জন্য, সাঁটিয়ে দিয়েছি।“
হেডুর ঠোঁটের কোণে একটা পরিতৃপ্তির হাসি।
ভীমু গিয়ে সৌম্যদীপ-এর মাথায় হাত বোলাতে লাগলো।
– চিন্তা করিস না। মধুরিমা কে পরে একটা ফোন করে নিস। তাহলেই হবে।
– শালা, আমার স্কুলের গেট থেকে ফিরে যেতে হল ওকে!
||
তারাসুন্দরী হাই স্কুল যে ওই অপমানের বদলা এইভাবে নেবে সেটা ভাবতেও পারেনি অর্নব অভিজ্যোতি-রা। ঘিয়ে রং এর জামা দেখেই দারোয়ান সজাগ হয়ে উঠল। মুখের ওপর সদর দরজা টা আআআসতে করে বন্ধ হয়ে গেল।
দোতলার ব্যালকনি থেকে সম্মিলিত উষ্ণ অভ্যর্থনা টাই সম্বল করে ফিরল আমাদের বাহিনী।
||
আমি অনেক খুঁজে চার খানা বই মনোনীত করলাম ঠাকুরের বেদীর পাশে রাখার জন্য – অঙ্ক, ইতিহাস, ভূগোল আর বাংলা। এই চার টে বিষয়ে যে আমি কাঁচা সেটা বাপি আগেই সন্দেহ করেছিল। তবে ঠাকুরের সামনে বই জমা দিলে সেটা যে তিন চার দিন হাত দেওয়া যাবে না, সেই প্রাচীন নিয়ম টাই আমাকে বেশি প্রভাবিত করলো।
– মা, কটা নাগাদ ঠাকুর মশাই আসবেন?
– ১১ টা হবে মনে হয়। তুই চন্দন বেটে রাখ।
– ১১ টা?! শর্টে সারতে বলবে।
– না রে। দেরিই হবে আজ পুজো মিটতে। পুস্পাঞ্জলির আগে ৩ খানা হাতেখড়ি আছে। পাশের বাড়ির মুনমুন এর বোন, ওপাড়ার তোজো, আর আমাদের কাজের মাসির মেয়ে।
– এখানে কি আর কোনো বাড়িতে পুজো হয় না!
সমস্ত প্ল্যান চটকে চৌচির। সজারু আর তোচন কে আগেই বলাম দিলাম যে একটু দেরি হবে। অনেক সমাজ সেবা করার আছে আজ। কজন বোঝে!
যথারীতি পুরুত লেট। রানিং সাইকেলের সামনে চোর ধরার মতো করে দাঁড়িয়ে বকা কে ফাইনালি বগলদাবা করে আনা গেল। উঠতি পুরুত। তবে মনোযোগ আছে কাজে, আর কথাও শোনে।
পুস্পাঞ্জলির মন্ত্র ভুল হলেই মা সরস্বতী বদলা নেন। তাই খটমট শব্দ গুলো এড়িয়ে যাওয়াই আমি মনে করি বুদ্ধিমানের কাজ। ভুল বলার থেকে না বলাই ভালো। লজিক্যালি নিজের কাছে কারেক্ট থাকা যায়।
||
ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র আগে অবশ্য কুল খাওয়ার কোন বাধা থাকে না। তবে আজকের দিন টা স্পেশাল। শাড়ি তো অন্য দিনও মেয়েরা পরে। তবে সজারুর মনে হয় বাসন্তী শাড়ি তে মেয়ে গুলো হঠাৎ আজ কেমন যেন অনেকটা ম্যাচিওর হয়ে ওঠে। দেখলেই বুকের মধ্যে একটা বড়ো পাথর উড়ে এসে জুড়ে বসে নড়াচড়া করতে থাকে, পেটের মধ্যে যেন গুবড়ে পোকা ডানা মেলে ছটফট করে। পুরো পেম পেম গন্ধ বাতাসে।
যাই হোক, “মিশন ঝারি”-র প্ল্যান রেডি। আগে বাধ্যতামূলক বৈধ প্রেমিকা দর্শন। তারপর যেমন খুশি দেখো। হাতে সময় অল্প, টাস্ক অনেক। অতএব যাত্রা শুরু। “সিলেবাসে নেই কি দেখি খুঁজি মোরা চল।”
||
আমার কেস টা সোজা হয়েও বেশ জটিল। দুটো বাড়ির মধ্যে ব্যবধান ২০ ফুটও হবে কিনা সন্দেহ। তবুও দেখা করতে দুজনকে ২০ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। কারণ? যাতে চেনা কেউ দেখে চিনে না ফেলে। কি জ্বালা! অতঃপর পোস্টম্যান সজারু মুনমুন কে নিয়ে পৌঁছে যায় ব্রিজের নীচে। এদিকে সাগরেদ তোচনকে নিয়ে আমিও রওনা দি। পুরো সিক্রেট মিশন। একজন কেস খেলেই পুরো র‍্যাকেট ধরা পড়ে যাবে, এমনই সব সম্পর্কের বুনোট।
যাই হোক। কথা শুরুর আগেই দেখি মুনমুন উলটো দিকে হাঁটতে শুরু করেছে। কারণ টা জানতে পারলাম ১ ঘণ্টা পর। মুনমুনের কাকিমার ভাই এর হবু বৌ এর মাসতুতো জেঠু নাকি পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। দুঃখ হয় মাঝে মাঝে মেয়েটার জন্য।
তবে দুঃখ টা একটু বেশি তোচনের। পিকলুর যেমন ২০ ফুটের নাগালে, তোচনেরও ২০ বার বাস ট্রেন পালটে পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যে। তাই এইদিন টা তোচনের অন কল-এই কেটে যায়। আর কল মানেই তো কলাকলি। সজারুর পায়ের কাছে আছড়ে পড়ল টাটা ইন্ডিকমের সবুজ স্ক্রিন ওয়ালা মোবাইল। আব্‌ তাক ছাপ্পান্‌। তোচনের ট্রেডমার্ক স্টাইল। এরপর বিকেলে হাতে আসবে নতুন সেট। ততক্ষণ অবধি তোচন শুধুই আমাদের।
বাকি রইল সজারু। হাতে চামকাগজে মোড়া ভূমি-র “যাত্রা শুরু” ক্যাসেট আর একটা বড় সাইজের ডেয়ারি মিল্ক। শখ কম নয় ছেলের।
– কখন আসবে, কোথায় দিবি, কিছু ঠিক করেছিস?
– তোদের হেল্প চাই। একটা ফোন করতে হবে বুথ থেকে ওর বাড়িতে।
– আবার নাটক শুরু করলি? এগুলো যখন জানতিস করতে হবে, তখন আর দুটো ডেয়ারি মিল্ক কিনতে কি ফেটেছিল?
– খাওয়াব ভাই সিওর খাওয়াব। আজকে মানিব্যাগ নিয়ে বেরোইনি। কাল পাক্কা। একবার জাস্ট দেখা করিয়ে দে। এগুলো না দিতে পারলে কেস খেয়ে যাব।
– না দিলে কেস?
– বাড়ি নিয়ে ঢোকা যাবে না বস্‌।
বুথের ছোট্ট কাঁচের ঘরে ঠেসাঠেসি করে দাঁড়িয়ে তোচন আর পিকলু। সামনেই একটা ১০০ পাওয়ারের বাল্ব।
– তুই লাগা।
– আগের দুবার আমি লাগিয়েছি। আজ তোর টার্ন।
– লাগাতে ভয় পাস সেটা স্বীকার কর।
ক্রিং ক্রিং!
– হ্যালোওওও………
– (সেরেছে, ওর মা ধরেছে!) আম্‌ম্‌ উম্‌ম্‌, কাকিমা মৌপিয়া আছে?
ধড়াম!!
ফোন রাখার শব্দটা হজম করা গেলেও কানের গোড়ায় বাল্ব ফাটার ধাক্কা টা আজও সামলাতে পারিনি আমরা। কি কোইন্সিডেন্স মাইরি!
চকলেট টা চিবোতে চিবোতে তোচন জিজ্ঞেস করল,
– ক্যাসেট টা কি করবি ঠিক করলি?
– তোদের নজর লেগেই সব ভেস্তে গেল। এটাও নিয়ে যা এবার। বাড়ির বারান্দায় রোদে বসে শোন শালা।
আমিই উপায় টা বাতলালাম।
– স্যার, এটা রাখুন। আপনার সরস্বতী পুজোর গিফট্‌।
– মানে? সরস্বতী পুজোতে কেউ আবার টিচার দের গিফট্‌ দেয় বলে তো শুনিনি!
– আপনি না থাকলে আর সরস্বতী কিসের! এটা আমাদের তিনজনের তরফ থেকে। শুনে দেখবেন।
কর্তব্য পালন করতে করতেই ১২ টা বেজে গেল। এক্ষুনি গিয়ে লাইন না দিলে স্কুলের ভোগ টাও মায়ের ভোগেই যাবে।
||
ক্লাসরুমের দেওয়াল আর সিলিং টা দেখলেই মেনু স্পষ্ট হয়ে যায়। চাটনির টম্যাটো গুলো হাফ আটকে হাফ ঝুলে, পাখার ব্লেডে আমসত্ত্ব ডাইভ মারবার জন্য রেডি, ব্ল্যাকবোর্ডের গায়ে বেগুনভাজার খোসা। জমপেশ মেনু মনে হচ্ছে।
– কি রে, খাওয়া দাওয়া সব ঠিক আছে তো?
– স্যার, এদিকে আর একটু খিচুড়ি দেবেন?
কোমরে গামছা বেঁধে হাতে বালতি নিয়ে স্যার এগিয়ে চললেন বেঞ্চের ফাঁক দিয়ে দিয়ে। পেছন থেকে হাজরা, সায়ন নিক্ষেপ করতে থাকল একের পর এক মিসাইল। দেওয়ালে থাকা মেনুকার্ড এখন স্যারের ধুতি গামছার পেছনেও দৃশ্যমান।
||
এগরোল, ডিমের ডেভিল এগুলো কে আজকের দিনে নিরুপায় ভাবে দূরে সরিয়ে রাখতেই হয়। কি করা যাবে। শিক্ষাজীবন যে এখনও বিদ্যমান! তবে সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যেবেলা তোচনের বাড়ির নেমন্তন্ন টা মিস করার প্রশ্নই ওঠে না।
– বাবা, তোমরা কটা করে কচুরি খাবে একটু আগে থেকে বলে দাও। আমি গরম গরম ভেজে দেবো।
– কাকিমা, আপনি শুরু করুন। আজ ২৫ টা টেনে দেবো।
ভীমুর এই চ্যালেঞ্জ গুলো চিরকালই সহ্য করে গেছে তোচন। তবে আজ রোগা তোচন এর পোকা গুলো নড়ে উঠল।
– হয়ে যাক শালা আজ কম্পিটিশান। তুই যটা খাবি, আমি ঠিক তার থেকে একটা বেশি খাব। চ্যালেঞ্জ!
ভীমুর ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি। শুরু হলো কড়াইশুঁটির কচুরি আর আলুরদম্‌ বিতরণ।
আমি পেটরোগা, ৩ টের পরেই বেল্ট আলগা করতে শুরু করলাম। সজারু্র ৭ এ মধ্যাহ্ন। অঞ্জন ৫ এই কাহিল। ওদিকে ভীমু ২২ আর তোতন ১৯। খেলার এখনও ১৫ মিনিট বাকি। কাকিমা দেওর কে ফিট করে ফেলেছেন অলরেডি কচুরি ডেলিভার করার জন্য। তোচনের দাদা কাঁচুমাচু মুখ করে পাশে দাঁড়িয়ে, আজ ভাগ্যে আর কচুরি জুটবে কিনা সন্দেহ!
অবশেষে শেষ বাঁশি বেজে উঠল। কাকা দরজার গায়ে নেতিয়ে পড়েছেন। দাদা আশাহত। আমরা আশেপাশে কেতরে পড়ে আছি। ম্যাচের ফাইনাল স্কোর তোচন ২৫ ভীমু ২৮। পাশের টেবিল টা ধরে কোনোরকমে উঠে দাঁড়ালো আমাদেএ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।
– হাত টা কোথায় ধোব কাকিমা?
– একতলায় বেসিন আছে। ওমা! আর খাবে না?
– নাঃ। বাড়ি ফিরে মায়ের লুচি গুলোও তো একটু খেতে হবে।
ভীমু নামছে সিঁড়ি দিয়ে। পেছনে রানার আপ তোচন। তার পেছনে বাকিরা। হঠাৎ………!!
ভীমুর এই গুণ টা আগে বলাই হয়নি। কারুর বাড়ি থেকে কিছু নিলে সেটা যাওয়ার আগে ফিরিয়েও দিয়ে যেতে ভীমু ভোলে না। সেটা যে সিঁড়িতেই হবে, কেউ ভাবতে পারেনি! দেওয়াল আর রেলিং বেয়েই বাকিটা নামতে হল আমাদের।
আজও ভীমু তোচনের বাড়ি এলে ওর কাকা ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করেন, “আবার করবে না তো রে?”
||
রাতে ঠাকুর তো প্যান্ডেলে একা থাকবেন না।
– কে কে জাগবি বল?
– প্রভাত ভিডিওস্‌ থেকে এনেছিস যেটা বলেছিলাম আনতে?
– রাস্তার মাঝখানে ওটা হতো না ভাই। তবে ভালই এনেছি তার বদলে। গা ছমছমে ভুতের বই – “পুরানা মান্দির”। রথ ও দেখবি, আর কলাও……………।
~~~♥~~~
স্মার্টফোন, ফেসবুক, ওয়াট্‌সঅ্যাপ। সত্যি করে বলো তো ঠাকুরের সাথে সেলফি তুলে বা “feeling excited AT Amra Sobai Sangha WITH Shweta and 3 others” স্টেটাস আপডেট দিয়ে কি সেই একইরকম আনন্দ পাও যেগুলো ছোটবেলার স্বতঃস্ফুর্ত দিনগুলো তে উপভোগ করতে পারতে?
জানিও আমাকে, তোমাদের গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম। সরস্বতী পুজো খুব ভালো কাটুক সকলের।

 

লেখা ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি