ম্যাচ রিপোর্ট ৩ – নাইজেরিয়া বনাম আর্জেন্টিনা

Anirban & Arijit, Humor, Other Review, Reviews, Series, বাংলা

১. গোল করার পাঁচ সেকেন্ড আগে মেসির দাঁত কিড়মিড় করে বলা কিছু কথা ধরা পড়েছে পিচ মাইকে।

“আজ ওই টাকলার একদিন কি আমারই একদিন……. সরে যা শালা সামনে থেকে….. ‘পুশ করো খুশ রহো’ ট্যাকটিক লাগাবি তোরা, অ্যাঁ? আজ গোল না দিলে অ্যান্তোনেলা তিন গুণা লাগান করবে বলেছে চারিদিকে… ডায়লগ মেরে রেখেছে যে, ‘ভারোসা হ্যায় লিও, তুঝমে, অউর তোহরা হিম্মত মে’…. স্রেফ ওই গ্যালারির বুড়ো ভগবানটার জন্য… সরে যাআআআআআআআ….”

গোওওওওলললল!

২. নাইজিরিয়ার পেনাল্টি না পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! রেফারি মাঠের ধারে ভিডিও স্ক্রিনে রিপ্লে দেখতে গেছিলেন। কিন্তু ইদানীং রিভিউ অনেক বেশি হওয়ায় ওই ভিডিও চলার আগে পতঞ্জলির স্বর্ণকান্তি ফেয়ারনেস ক্রিম আর দন্তকান্তি মাজনের অ্যাড চলতে শুরু করে। বেশ কয়েকবার “স্কিপ অ্যাড”-এ ক্লিক করেও লাভ হয়নি। রেফারি বিরক্ত হয়ে পেনাল্টি নাকচ করে দেন।

©অরিজিৎ গাঙ্গুলি

৩. খেলা চলাকালীন আর্জেন্টিনার কোচ সাম্পাওলিকে আজ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। যেমন, কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে, গোলপোস্টের পিছনে, গ্যালারির পাঁচিলে, বাইরের রাস্তায়। আপন মনে তিনি নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছিলেন কাউকে। প্রত্যেকবার রেফারি তাঁকে টেনে এনে বেঞ্চের সামনে দাঁড় করান।

৪. ম্যাচ শেষে সাম্পাওলি-কে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, “হিগুয়াইনের এই ধারাবাহিকতার রহস্য কি?” উনি মুচকি হেসে উত্তর দেন, “ছেলেটাকে গোল পোস্টের ভেতরে দাঁড় করিয়ে বলি গোল দিয়ে দেখা……. তাতেও বাইরে মারে!”

৫. ম্যাচের পর পাড়ার ক্লাবঘর থেকে নকাই খালি গায়ে ছুটে এসে রাস্তার মধ্যিখানে দাঁড়িয়ে দু হাত আকাশে তুলে চিৎকার করে বলে ওঠে,

“আজ হেরে গেলে নীল সাদা পতাকা তো খুলে নিতিস….. কিন্তু এই বাংলার বুক থেকে নীল সাদা কি মুছে দিতে পারতিস তোরা?”

আশেপাশের বাড়িগুলো থেকে জানলা বন্ধ করার আওয়াজ আসে।

© অরিজিৎ গাঙ্গুলি
www.anariminds.com
www.facebook.com/anariminds