
ঝগড়া
– আর ঝগড়া করবি?
– ঝগড়া আমি করলাম? এত বড় মিথ্যে আমার ওপর চাপালি? বাজে ছেলে, মিথ্যেবাদী তুই , প্রবঞ্চক , ঠগ্ …… ইয়ে…
– তোর আর আমার তফাত কোথায় জানিস? রেগে গেলে তোর ভাষাটা বড্ড শুদ্ধ হয়ে যায় আর আমার টা……
– ভাল হচ্ছেনা কিন্তু, প্রচন্ড মাথা গরম হয়ে আছে, হাত চলে যাবে…
– আমার ও পা চলবে তাহলে?
– কি? কি? তুই আমাকে ……
– দৌড়ে পালিয়ে যাবো…
– যা, যেখানে ভালো লাগে যা। তোর সব কিসব মামনি আছে, চান্দ্রেয়ী, দেবপর্না… তাদের কাছে যা, আমাকে আর ভাল লাগেনা জানি। মন থেকে মুছে দিয়েছিস। সেদিন আইসক্রিম খেলি ইশিতার সঙ্গে। তাও জানি।
– আমি মুছে দিয়েছি তোকে? আমি? ………শোন শোন, এই দেখো, কান্নাকাটি… আরে চললি কোথায়?
– মরতে
– আমার সঙ্গে চল, শর্টকাট জানি
– সিরিয়াসনেস বলে কি কিছুই নেই রে তোর মধ্যে? অপদার্থ একটা। কেন যে তোর কথায় ভুলে তোকে……
– প্লিজ প্লিজ মল্লিকা। ভাল তুই বাসিসনি আমাকে।
– এক থাপ্পড় মেরে দাঁত কটা ফেলে দেবো তোর শয়তান। লজ্জা করেনা?
– ভাল তুই একজনকেই বাসিস। আমি তোর বন্ধু। খুব কাছের বন্ধু। কিন্তু……
– আমি কি করি বল তো? তোরা আমাকে এই ভাবে মেরে ফেলবি? তোরা দুজন? আমি দু টুকরো হয়ে যাচ্ছি…
– স্বীকার করলি?
– তোর কাছে মিথ্যে বলে কি লাভ বল? তুই যে বড্ড কাছের, বড্ড আপন।
– তাই বুঝি কাল ঠেলে সরিয়ে দিলি?
– তুই মুখটা কাছে আনলি…ইয়াক…তোর মুখে বিচ্ছিরি পোড়া গন্ধ
– সিগারেট থেকে পদ্মফুলের গন্ধ বেরোনো সম্ভব না। আসলে তোর হয়ত ওর কথা মনে পড়ছিল
– তুই খুব বাজে ছেলে………
– সেই তো। আমিই বাজে খারাপ দুশ্চরিত্র…
– জানিস বাবু, ও যখন মুখটা কাছে আনে, কি সুন্দর যে লাগে… বড্ড
– আমাকে এই গুলো শোনাবি? কি নিষ্ঠুর মেয়ে রে বাবা!!!
– ওর নিশ্বাসের ফোঁস ফোঁস শব্দ আমার কানে বাজে। সব সময় ওর কথা মনে পড়ে। ওর চোখ দুটো, মুখটা … আমাকে ছাড়া কিছুই যেন জানেনা বেচারা
– প্লিজ মল্লিকা…… স্টপ ইট…
– না , তোকে শুনতেই হবে। শুনতেই হবে। কেন ভালোবেসেছিস আমায়?
– না। শুনতে চাই না।
– জানিস, দুষ্টুটা আমার গাল চেটে দেয়
– জঘন্য
– কেন তুই সহ্য করতে পারিস না বাবু ওকে? আমার বাদশাকে?
– পারিনি , পারিনা, পারবনা। আমি কুকুর পছন্দ করিনা। তুই তোর কুকুর ছানার গল্প বলা প্লিজ বন্ধ কর।
~~~~^^^~~~~
©️সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়