
অভিশপ্ত “আইটি”
টুঙ !!!
আউটলুকে নোটিফিকেশনটা বেজে উঠল, সাথে একটা পপ-আপ – শ্রীনিভাস ইনভাইটেড ইউ ফর এ মিটিং…
এই এক মিনিট!! আপনি কি ক্লাসের ফার্স্ট বেঞ্চার ছিলেন? মানে ক্লাস শেষ করে স্যার যখন বেড়িয়ে যাচ্ছেন, তার পেছন পেছন “আমার একটা প্রশ্ন আছে” বলে দৌড়ে গিয়ে এমন একটা প্রশ্ন করতেন যেটার উত্তর আপনি জানেন, কিন্তু স্যার জানেন কিনা সেটা যাচাই করার চুলকানিটা কন্ট্রোল করতে পারতেন না ? এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং এ এসে যখন সবাই কানিতকার এর “লেট আস সি” এর বইটা সবে সবে লাইব্রেরি থেকে এনেছে, তখন কি আপনি রোবোটিক্স নিয়ে প্রজেক্ট শুরু করে দিয়েছিলেন ?
ক্ষমা করবেন দাদা – এই লেখা বা আলোচনা শুধুমাত্র সাধারণ মেধার জনগণের জন্য – আপনি আসতে পারেন।
তো শ্রীনিবাসের মিটিং ইনভাইটে অভীক নিজের সাথে আরো ৮-১০ জনের নাম দেখলো, ডিরেক্টর-ফিরেক্টরদের থেকে শুক্রবার বিকেল ৬:৪৫ এ এইধরণের মেইল আসার ইন্ডিরেক্ট ইঙ্গিত হলো “রবিবার মাটন ছেড়ে কাতলা মাছের পাতলা ঝোলটাই খেয়ো” – অভীক আমার খুব ভালো বন্ধু, দুজনেই আইটিতে আছি, তাই প্রায়ই বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা হয় ওর সাথে । এমনিই মার্কেটের অবস্থা ভালোনা, টপ টিয়ার কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটার সিইও তো অফিসিয়ালি সবাইকে মেইল করেও দিয়েছে যে ২০২০ র মধ্যে নাকি ১২০০০ ছাঁটাই করবে।….ওহ সরি, এগুলো তো আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বলতে নেই, তবে এই আনাড়ি-মাইন্ডস পেজটা এসবের তোয়াক্কা বিশেষ করেনা তাই মলাট খুলেই আজ রিয়ালিটিটা বলবো।
তো সেই শুক্রবারে ডিরেক্টরের মেল্ এ “মেলা দিলো কা” তো আসেইনি অভীকের জীবনে, উল্টে ব্যাঙ্গালোরে এম-আর-পি দোকানের কান্নাডিগা ভদ্রলোকটি বেশ কিছু লাভ করলেন, অবশেষে সোমবার অভীক ঠিক কাঁটায় কাঁটায় একটায় সেই মিটিং রুমে গিয়ে বসলো, জাঙ্গিয়া টা স্কুটি পার্ক করার সময় অলরেডি মাথায় পরে নিয়েছিল তাই অকারণ সময় নষ্ট হয়নি। ও তার আগে বলে রাখি এম-আর-পি হলো এফ-এল অফ শপ আর কান্নাডিগা মানে কর্ণাটক এর বাসিন্দা, যেমন কলকাতায় বাঙালি।
একটা পঁচিশ বাজলো..শ্রীনিভাস ভুঁড়ি ভাসিয়ে দাঁত কেলিয়ে এলো – “হেই, সো এভরিবডি ইস হিয়ার ‘রাইট’ ”
অভীক অনেকবার ভেবেছে এই জিনিসটা, মানে সিনিয়র হলেই সব কথার শেষে সাফিক্সের মতো এই ‘রাইট’ শব্দ টা কেন ? এটায় কি কথার জোর বাড়ে ? নিজের ডেসিগনেশনের আনটুয়ার্ডস এডভ্যান্টেজ নেওয়া যায়? নাকি নিজে কনফিডেন্ট না হয়েও ভুল জিনিষ কে ‘রাইট’ বানানো যায় ? স্থান-কাল-পাত্র-গোত্র-ধর্ম-বর্
শ্রীনিবাস শুরু করলো –
“দ্য এজেন্ডা অফ টুডেজ মিটিং ইস টু রি-আরেঞ্জ দ্য ক্যাপাসিটি ম্যানেজমেন্ট , লাইক ইউ নো…”
অভীক এই সব শব্দের মানে খুব ভালো করে বোঝে – কিন্তু ওই মিটিং ইনভাইট এর বাকি কিছু জুনিয়র ছিলো, যাদের গা থেকে এখনো কলেজের গন্ধ যায়নি – অভীক ওদের মুখচোখ দেখেই বুঝলো শ্রীনিবাসের বক্তব্য পুরো ট্যান যাচ্ছে ওদের ওপর দিয়ে ।
“উই হ্যাড এন ইনিশিয়াল প্ল্যানিং টু অনবোর্ড ৮৫ পিপল, হাউএভার উই অলরেডি হ্যাভ ১২৩ অন দ্য ফ্লোর”
অভীক বুঝে গেছে এ মাল এখন বিলিং, প্রজেক্ট-কস্ট,আল-বাল-ছোলার ডাল দিয়ে বলবে “এবার এসো” – ঠিক তাই হলো, রাইট-রং এর টার্ময়েল এ যেটা আল্টিমেট দাঁড়ালো সেটা হলো ক্লায়েন্ট বিল দিতে পারছেনা।
যাঁরা এই লেখাটা পড়ছেন কিন্তু আইটি দুনিয়ার সাথে সরাসরি যুক্ত নন তাদের জন্য বলি, দেখুন আমাদের ইন্ডাস্ট্রি তে “বিল” মানে ওই সরস্বতীপুজোর চাঁদা কাটার ফিনফিনে কাগজে “কাকু এবার ২৫ টাকা লিখলাম” নয়, বিল মানে একজন এমপ্লয়ি তার অর্গানাইজেশনের জন্য ফিরিঙ্গি দের থেকে কত ডলার বা পাউন্ড আনতে পারছে, এবং সেটার ওপরই এই আইটি দুনিয়ার এপ্রেইসল, প্রমোশন এইসব কিছু অনেকাংশে নির্ভরশীল – কাজ তো যা করি, যাক আজ থাক সেসব কথা।
এমনিতে আইটি দুনিয়াটা বেশ রঙীন – এই মেরেছে, “রঙীন” শব্দটা লিখলাম আর কারেন্ট অফ হয়ে গেলো – যাই হোক তবে আইটি দুনিয়া টা ওভারঅল খারাপ না কিন্তু, যদি ঠিক লোক ঠিক প্রজেক্ট ঠিক ম্যানেজার এবং ঠিক জায়গা হয় – এবার ঘটনাটা হলো এই চারটে “ঠিক ” এর সব গুলোই কিন্তু “রেডিও বাটন” অর্থাৎ সব গুলোই “এন্ড” কন্ডিশনে থাকতে হবে নাহলেই সমস্যার শুরু এবং প্রথম সমস্যা হলো “বেঞ্চ”।
বেঞ্চ ~ ‘ছাঁটাই” এর আগের আইটি দুনিয়ার দ্বিতীয় চিন্তাজনক শব্দ – কি এই বেঞ্চ? কেন এই বেঞ্চ ? আদৌ কি কোনো কাঠের বেঞ্চ থাকে?
বলছি, এক এক করে সব বলছি। কিন্তু তার আগে কয়েকটা আইটি সম্পর্কীয় টার্মিনোলোজিস সম্বন্ধে বলা দরকার –
১. সার্ভিস বেস্ড কোম্পানি – যেমন টিসিএস, কগনিজেন্ট , একসেঞ্চার – এরা হলো সার্ভিস প্রোভাইডার – অর্থাৎ ইউ-এস, ইউ-কে র নামি দামি ইনসিওরেন্স, ব্যাঙ্কিং ফার্ম, ট্র্যাভেল, রিটেল কোম্পানি গুলোকে সফটওয়্যার বানিয়ে দেয় ( ইন আদার ওয়ার্ডস একটা কেউ গোবর দিয়েছে, তার থেকে ঘুঁটে বানিয়ে জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানোর চেষ্টা, মোদ্দা কথা হলো ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের থার্ড ক্লাস সিস্টেমের পাহাড়ে উঠতে লাঠি জোগান দেওয়া আর কি), এবং ওয়ারান্টি সাপোর্ট ও দেয় (ধরুন জোম্যাটো তে বিরিয়ানি অর্ডার করতে গেলেন, যদিও পাবেন এঁটো বিরিয়ানি, তাও আপনার টাকা কেটে গেলো কিন্তু অর্ডার টা কমপ্লিট হলো না – সেটার সলিউশন দেওয়া ইত্যাদি) – পরিবর্তে ওই কোম্পানি বা ক্লায়েন্ট এই সার্ভিস বেস্ড ইন্ডিয়ান আইটি কোম্পানি গুলোকে পিঁপড়ের পোঁদ টিপে ডলার বা পাউন্ডে পে করে – সেই থেকে সব হায়ারার্কি ফলো করে তেল চুপচুপে মাথা থেকে গড়াতে গড়াতে আমাদের মতো নখের যোগ্য এমপ্লয়িদের গায়ে ‘টপ’ করে এক ফোঁটা পড়ে – আর আইটি দুনিয়ার বাইরের লোকজন ভাবে “শালা কোটি কোটি টাকা ছাপছে” ।
২. প্রোডাক্ট কোম্পানি – যেমন সানগার্ড, ইন্টেল – এরা নিজেরাই নিজেদের ক্লায়েন্ট এবং নাম থেকেই বোঝা যায় যে এরা প্রোডাক্ট বেচে কাস্টমারদের এবং সাপোর্ট ও দেয় – কাউকে জবাবদিহি করার ব্যাপার নেই, তবে এইসব জায়গায় চাকরি পাওয়াটা তুলনামূলক ভাবে একটু চাপের ।
৩. ক্যাপটিভ কোম্পানি – এই কনসেপ্ট টা ইন্ডিয়াতে একটু নতুন, বিদেশের বড় বড় ব্যাংক বা ইনসিওরেন্স কোম্পানি গুলো ইন্ডিয়াতে নিজেদের অফিস খুলে, ওই সার্ভিস বেস্ড নামক থার্ড-পার্টি না রেখে ডিরেক্ট ইন্ডিয়ান লোকজনদের হায়ার করে – সস্তায় কাজ নেমে যায়।
এবার আসি বেঞ্চ এর বিষয়ে – বেঞ্চ মানে হলো এই সার্ভিস বেস্ড কোম্পানি গুলোর একটা কমন এমপ্লয়ি ওয়্যারহাউস – মোটামুটি দুটো কারণে বেঞ্চে থাকে লোকজন –
১. প্রজেক্ট র্যাম্প ডাউন – মানে ২০১৭ তে ধরুন ১৩০ জন কে নিয়ে একটা প্রজেক্ট শুরু হয়েছিল, দু বছরের শেষে এসে শুধু যারা ওয়ারেন্টি সাপোর্ট দেবে তারা বাদ দিয়ে সবাই কে প্রজেক্ট থেকে রিলিস করে বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হলো।
২.কোনো একটা বড়সড়ো প্রজেক্টের ব্যাপারে ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা চলছে, কিন্তু ম্যানপাওয়ার নেই অফশোরে – সেক্ষেত্রে এই বেঞ্চ এর স্ট্রেংথ দেখিয়ে প্রজেক্ট পাওয়ার একটা সুযোগ থাকে ।
এই দ্বিতীয় কারণটা বেশ ভালো, কোম্পানি এবং এমপ্লয়ি দুজনের জন্যই – সমস্যাটা হলো প্রথম কারণ টা – মানে ধরুন আপনাকে একটা কোম্পানি কোনো প্রজেক্টের জন্য নিয়েছে, আপনি জয়েন করলেন, কাজ শিখলেন, কাজ শুরু করলেন কিন্তু কদিন পরেই ওই “বিল” এর বিল-পাশ হলো না, এবং আপনি বেঞ্চে চলে গেলেন – এরপরের সমস্যা হলো বেঞ্চে থাকা কালীন “ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট” এর লোকজনের কন্টিনিউয়াস খোঁচানো যেটা শুরু হয় “প্লিস বি ফ্লেক্সিবল ইন টার্মস অফ লোকেশন”, “আপস্কিল ইউরসেল্ফ” এইসব লাইন দিয়ে। এই ট্যালেন্ট ম্যানেজার বা এইচ আর গুলোর সমস্যা হলো এরা আমাদের মুটে-মজুর রাজমিস্ত্রি হিসেবে ট্রিট করে – মানে ভাবটা এরকম, যে আজ একজায়গায় কাজ করেছো ভালো কথা, কাল অন্য শহরে চলে যাও – আসলে এদের যেখানে চাষ সেখানেই বাস, তাই আমাদেরও যে একটা ফ্যামিলি আছে, বাচ্চাদের একটা সেট-আপ আছে, স্কুল আছে, একটা বন্ধু-বান্ধবের দল আছে এগুলো এরা হয় বোঝে না, অথবা নিজেদের অপ্রেসাল এ “আমি প্রজেক্টের রিকুয়ারমেন্ট ফুলফিল করতে ১০ জন কে হায়দ্রাবাদ থেকে চেন্নাই পাঠিয়েছি কোনো রিলোকেশন কস্ট ছাড়া ” – এটা দেখানোর জন্য মিষ্টি মুখে হাজির হয় “প্লিস বি ফ্লেক্সিবল ইন টার্মস অফ রিলোকেশন, দেয়ার ইস এ হিউজ প্রজেক্ট গোয়িং ” এইসব বুলি নিয়ে ।
অভীকের সমস্যা হলো ও বরাবর এ-এস ৪০০ এ কাজ করে এসেছে যেটা একটা বহু পুরোনো টেকনোলজি, কিন্তু এই কোম্পানিতে ওকে হায়ার করা হয়েছিল ওটার জন্যই, এবং দুর্ভাগ্যবশতঃ ওই টেকনোলজিতে খুব একটা কাজ নেই এখন – সুতরাং সবাই এখন অভীককে ফ্রি তে জ্ঞান দেওয়া শুরু করেছে “আপস্কিলিং” নিয়ে – এবার এখানেও একটা সমস্যা আছে – এই আইটি কোম্পানি গুলোতে রেলিভেন্ট প্রজেক্ট এক্সপেরিয়েন্স না থাকলে কেউ শেষ পাতেও নেয়না, যেমন ধরুন এখন আইটি মার্কেট কাঁপাচ্ছে “ক্লাউড”, “বিগ ডেটা “, “এ-ডব্লু-এস”, “রোবোটিক্স” এইসব – কিন্তু রিয়েলিটি হলো আপনি যদি কোনো জাভা বা ডট নেট টেকনোলজির প্রজেক্টে থাকেন ,তাহলে রোজকার কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনি এই যেগুলো বললাম, সেগুলো তাও শিখতে পারেন। ধরে নিলাম অভীক গ্যাঁটের পয়সা খরচ করে একটা কোনো কোর্স করেও নিলো – কেউ কি গ্যারান্টি দিতে পারবে যে শুধু ট্রেনিং এর ওপর ভরসা করে রিয়েল লাইভ প্রজেক্টে কাজ না করে নতুন প্রজেক্ট বা নতুন চাকরি পাওয়া যাবে ?
আনাড়ি মাইন্ডসে অনেক বছর আগে একটা লেখা পড়েছিলাম – “দিন ফুরোলো আইটি “, না আমি একেবারেই নিরাশাবাদী নই, অভীকের মতো আমিও একজন আইটি কর্মী – কিন্তু আমার একটা জায়গায় কিছু প্রশ্ন আছে ।
১. কতদিন নিজেকে আপস্কিলিং করে যেতে হবে ?
২. সারাজীবন যদি পড়াশোনাই করবো তাহলে তো পি-এইচ-ডি, রিসার্চ এইসব করতে পারতাম
৩. শিখতে অসুবিধা নেই – কিন্তু সেই শিক্ষা টা প্রাক্টিক্যালি কাজে আসাটাও দরকার – আমি তো আজও বুঝলামনা ডেরিভেটিভ অফ সাইন থিটা = কস থিটা – এই মহামূল্যবান নলেজটা আমি জীবনের ঠিক কোন বাঁকে গিয়ে ব্যবহার করবো ।
৪. আজ “ক্লাউড”, “বিগ ডেটা ” নিয়ে লোকজন পাগল হয়ে যাচ্ছে, দুদিন পর “সুনামি” , “স্মল ইনফরমেশন” আসবে – ইন্ডাস্ট্রি আবার বলবে “দিস ইস দ্য ফিউচার “
৫. লাস্ট বাট নট দ্য লিষ্ট – সব কোম্পানিতে এইচ আর রা থেকে থেকেই মেল্ পাঠায় “ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স “, “ওয়ান টু ওয়ান হেল্প” এইসবের – যাদের মোদ্দা কথা হলো পরিবার কে সময় দাও, বৌকে নিয়ে শপিংয়ে যাও, বাচ্চাকে নিয়ে পার্কে যাও – একে তো খাতায় কলমে ন-ঘন্টা কোনোদিন ই মেইনটেইন হয়না, তারপর থাকে অনসাইটের কল, এস্কেলেশন মিটিং – এরপর যদি বাকি সময়টাও ওই চাকরি বাঁচানোর জন্য আপস্কিলিং এর ইঁদুর দৌড়ে নেমে পড়ি – তাহলে আর নিজে বাঁচবো কবে ?
জানি অনেকে এই লেখাটা পড়ে অনেক নেগেটিভ বক্তব্য রাখবেন – কিন্তু তার আগে মনে রাখবেন একটা কথা – পৃথিবীতে সবার আই-কিউ লেভেল কিন্তু সমান নয়, আপনি আজ মাইক্রোসফট বা গুগলে কাজ করতে পারেন নিজের যোগ্যতায়, কিন্তু তা বলে একটা ছোট আইটি ফার্মে কাজ করা মাঝারি মেধার ছেলেটাকেও কিন্তু আপনি ফেলে দিতে পারেন না – সবার কোড লেখার ক্ষমতা সমান নয় , কিন্তু তাদেরও অধিকার আছে মোটামুটি ভাবে একটা কিছু শিখে এবং শেখার অভ্যাসটা চালু রেখে চাকরি করার – এবার আপনি বলবেন তাহলে কলম পেষা কেরানি হতে পারত, এইসব রিস্ক থাকতো না – নিশ্চই পারতাম, কিন্তু আপনি হয়তো জানেননা যে সেই ছেলেটিকে পরিবার কে ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য বছর বছর ব্যাঙ্কের বা ডব্লিউ বিসিএস দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি ।
পরিশেষে আবার বলি – এটা কোনো গল্প নয় – আমার আপনার আশেপাশের প্রচুর মানুষের রোজকার লড়াই যেটা নিয়ে লোকজন খুব একটা আলোচনা করে না – প্রসঙ্গ টা এইজন্যই তুললাম যাতে একটা গঠনমূলক সুস্থ আলোচনা করা যায় – শুধু শুধু ঝগড়া করবেন না বা কাদা ছোঁড়াছুড়ি করবেন না। ধন্যবাদ ।
♠
© ছন্দক চক্রবর্তী