আনাড়ি টকিজ : পর্ব ২ : সাউন্ড ডিজাইনিং

সিনেমাতে এই প্রথম অফ স্ক্রিন মিউজিক বাজে, এখানে মিউজিকটা শুধু মাত্র দর্শক শুনতে পাচ্ছে, চরিত্র না। এর ব্যবহার এখানে পুরোপুরি আবহসঙ্গীতের মতোই। এর সাথেই খুব তাড়াতাড়ি অনেকগুলো ফলি খুব কম সময়ের মধ্যে জুড়ে দেওয়া হল, যেমন দরজা খোলা, ব্রেক কসা, ট্রাফিকের হর্ন। খুব কম সময়ের মধ্যে অনেকগুলো আলাদা আলাদা সাউন্ড, তাদের কোনটাই এক সেকেন্ডের বেশি শোনা যাচ্ছে না,শুরু হয়েই কেটে যাচ্ছে।

© এলজা রয়

আনাড়ি টকিজ : পর্ব ১ – সাউন্ড ডিজাইন

ডেভিড ফিনচার পরিচালিত ‘ফাইট ক্লাব’ নিশ্চয়ই অনেকেরই দেখা। এতে থাকা লড়াই এর দৃশ্যগুলো দেখে এত কেন অস্বস্তি হয়? কেন মনে হয় সত্যিই কেউ কারোর হাড় ভাঙছে? সেই একই অনুভূতি কি কোন হিন্দি ফাইট সিন দেখলে হয়? অথবা ‘ডাই হার্ড’ সিনেমার মারপিট দেখে কি এতটা অস্বস্তি হয়েছিল?

© এলজা রয়

অন্তিম যাত্রা

সিনেমা ভালো লাগবে না মন্দ লাগবে সেটা যেমন ছবির ধারাপ্রবাহের ওপর নির্ভর করে, ঠিক সেরম ভাবেই নির্ভর করে সেই ছবির থেকে আপনার নিজের কি এক্সপেক্টেশান। বুঝিয়ে বলি, আপনি সিনেমা হলে স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার দেখতে গেলেন এই আশা নিয়ে যে এখানে একটা ছাত্র প্রচুর পড়াশোনা করে ব্ল্যাক হোল নিয়ে একটা দারুন থিসিস দিয়ে, প্রচুর প্রাইজ ফ্রাইজ পেয়ে একদম একাকার করে দেবে; তারপর গিয়ে দেখলেন অমুক অভিনেতা আর অভিনেত্রী বুট ডুবে যাওয়া বরফের মধ্যে টি শার্ট আর চিকনের কুর্তি পরে নাচছে। আপনি আশাহত হবেনই। কিন্তু যদি উল্টোটা হয় তাহলে একটা শক লাগার মতো ব্যাপার হবে। সব শেষে কি দেখলাম না দেখলাম এসব গুলিয়ে গিয়ে নিজেকে ভালোটা বোঝাতে চেষ্টা করবেন, আপনই জিতবেন।

সিনে দর্পণ – ওকজা

গল্পটা সেই পুরনো পোষ্য আর পালকের প্রেমের! সেই মার্কিন ভোগবাদের বিপরীতে এক আবেগসর্বস্ব লড়াইয়ের! কিছু মানুষের একটা আদর্শ রক্ষার জন্য জীবন বাজী রাখার গল্প! 

লেখক ~ দেবায়ন কোলে
#AnariMinds #ThinkRoastEat