স্বৈরিণী

মার অনুশাসন কানে যায় না তিথির। বাথরুমের ঠান্ডা জল গায়ে ঢালতে ঢালতে দেওয়ালে লাগানো ঝাপসা আয়নাটার দিকে তাকায় ও। চাঁপাকলির মত ফর্সা সরু আঙুলে ধীরে ধীরে ঠোঁটটাকে ছোঁয় ও। আলতো করে, ঠিক যেমন ভাবে অবনীর ঠোঁট দশমিনিট আগে ছুঁয়েছিল ওকে। আঙুল নেমে আসে গলায়, মণিকন্ঠে হাত বুলিয়ে দুই পূর্ণ সুডৌল মালভুমিতে। জলের ধারা শরীর বেয়ে নামে, শিহরিত হয় তিথি। ওর শরীর আজ পূর্ণতা পেতে চায়, কিন্তু অবনী বলেছে অপেক্ষা করো। মৌমিতাকে ডিভোর্স দেওয়া অবধি।

ইগের অভিশাপ

অন্ধকারের মধ্যে একটু ভাল করে দেখতে হয়, একটা মানুষের অবয়বের মতো কিছু যেন পড়ে রয়েছে সেই বেদির উপর। অবয়বটা একবার নড়ে চড়ে উঠলো যেন। মৃদু শিসের শব্দটা এবার একটু জোড়ালো হয়েছে। মিঃ রোজারের হৃদ- স্পন্দন দ্রুত হয়ে গেছে তা তিনি আঁচ করতে পারছেন। এবার তিনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন জানোয়ারটাকে। দূর থেকে দেখলে প্রথমে মানুষ ভেবে ভুল করতে হয়। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, কোমরের উপরিভাগ মানুষের মতো হলেও কোমরের নীচে পা নেই। তার জায়গায় এক মস্ত বড় আঁশযুক্ত লেজ রয়েছে। যা হিলহিলিয়ে জলের উপর মৃদু তরঙ্গ সৃষ্টি করছে জানোয়ারটা।

লেখক ~ সুদীপ্ত নস্কর
#AnariMinds #ThinkRoastEat

দরিন্দা

গাড়ীটা বেরিয়ে যেতে মেয়েটা পিছন ঘুরে টলতে টলতে এগিয়ে গেল গেটের দিকে| … অপলক তাকিয়ে আছে সে মেয়টার দিকে| ফোঁটা ফোঁটা জল চুঁইয়ে পড়ছে তার বর্ষাতি থেকে, কানের লতি থেকে, চোখের পাতা থেকে|

লেখক ~ দিব্যেন্দু বিজলী
#AnariMinds #ThinkRoastEat

শেষ চিঠি

হঠাৎ’ খাটটা একটু নড়ে উঠল। খাটে কেউ বসলে যেমন ভাবে নড়ে উঠে ঠিক তেমন। পা থেকে মাথা অবধি এক হিমেল স্রোতের প্রবাহ অনুভব করলাম। খুব সন্তর্পণে দম বন্ধ করে ক্ষীণ চোখ খুলে দেখে সারা শরীর অবশ হয়ে গেল। খাটের উপর পায়ের কাছে বসে অবিনাশ, আমার দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে আছে। তার চোখ দুটি জ্বলন্ত ভাটার মত লাল হয়ে জ্বলছে। ক্ষুধিত বাঘের মত ক্ষিপ্র ভাবে সে আমার মাথার কাছে সরে এসে মুখের কাছে ঝুঁকে এলো, বিদ্যুৎ খেলে গেল শিরা উপশিরায়।

লেখক ~ সুদীপ্ত নস্কর
#AnariMinds #ThinkRoastEat

তরল রহস্য

ঢিবির একপ্রান্তে আমি আর একপ্রান্তে ফ্র‍্যাঙ্ক। আমি ক্যামেরাটা তাক করে সুইচটা টিপে দিলাম হয়তো ছবিটা ঠিক উঠলো না, কারণ উত্তেজনায় আমার হাতটা তখনও ঠক ঠক করে কাঁপছে। এই অবস্থায় প্রথম শর্টে স্পষ্ট ছবি উঠবে সে কথা কল্পনা করাই বোকামি। সঙ্গে সঙ্গে এক চোখ ঝলসানো ফ্ল্যাশের আলোয় কয়েক সিকি সেকেন্ডের জন্য প্রগাঢ় অন্ধকারের নিকষ ঘনত্ব চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল। আকস্মিক উজ্জ্বল আলোর ঝলকে সাময়িক বিচলিত হওয়ার পরই জানোয়ারটি আমাদের দিকে ক্ষিপ্রদৃষ্টে কিছুক্ষণ চেয়ে রইল।

লেখক ~ সুদীপ্ত নস্কর
#AnariMinds #ThinkRoastEat

লাফিং বুদ্ধ

ঘাটে পৌঁছতেই দেখলাম ভদ্রলোক যেন আমার অপেক্ষা করেই দাঁড়িয়ে আছেন। মুখে সেই বিষণ্ণ হাসি। ওনার দিকে না তাকিয়ে দৌড়ে দৌড়ে সিঁড়িগুলো বেয়ে নেমেই শেষ চাতালটা থেকে সর্বশক্তিতে মূর্তিটা ছুঁড়ে দিলাম গঙ্গার জলে। ঝপাস করে একটা শব্দ করে লাফিং বুদ্ধমূর্তিটা ডুবে গেল।

লেখক ~ স্পন্দন চৌধুরী
#AnariMinds #ThinkRoastEat

পাপ

তৃতীয় ছবি | ফুলে ফুলে সাজানো ঘর | বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে সদ্য বিবাহিতা মেয়েটি..পোষাক আলুথালু তার..ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িয়ে চুম্বন করছে একটি ছেলেকে | আর দরজার পাশে দাঁড়িয়ে অন্ধ ছেলেটি | মেয়েটির বর |

লেখিকা ~ সূর্য্যানি মুখার্জি
#AnariMinds #ThinkRoastEat

আমি সে এবং অপর একটি মাত্রা

একটা কান ফাটানো আওয়াজ পেলাম। হাঁ করে দেখলাম, একদম আমার সামনে হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ছে একটা অর্ধেক তৈরি ফ্লাইওভার। চারদিকে আর্তনাদ, কান্না, চিৎকার, রক্ত, ভিড়, ঠেলাঠেলি, পুলিস গাড়ির সাইরেন। ও কই?

লেখক ~ পার্থ ঘোষ
#AnariMinds